পিসিওএস এর কারণ
পিসিওএস কারো একদিনে হয় না। এটা বছরের পর বছর ধরে চলা সমস্যার ফলাফল। তাই, সময়মত লাইফস্টাইল চেঞ্জ করলে আগে থেকেই ঠেকানো যায় এই রোগ।
জেসন ফাং, সারা গটফ্রিড, মার্ক হাইম্যান ও লরেন্স র্যানসিক সহ অনেকের মতেই, পিসিওএস বা পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম হচ্ছে মেটাবলিক সিনড্রোম এক্সের অনেকগুলো রুপভেদের একটা।
তবে, রুট কজ বা গোড়ার কারনগুলো কিন্তু জানা গেছে।
১) লম্বা সময় ধরে অতিরিক্ত সুগার ও রিফাইন্ড কার্ব খাওয়া
২) লম্বা সময় ধরে অতিরিক্ত জিনেটিক্যালি মোডিফাইড সয়াবিন অয়েল খাওয়া
৩) লম্বা সময় ধরে জিনেটিক্যালি মোডিফাইড চিকেন/বীফ এবং সবজি/ফল খাওয়া
৪) কোকাকোলা-পেপসি-সফট ড্রিংক্স খাওয়া
৫) ক্রনিক স্ট্রেস ও ইনসমনিয়া
৬) লাইট পলিউশন
৭) হাইপোথাইরয়েডিজম ও
৮) ম্যাগনেসিয়াম, বোরন, আয়োডিন ও জিংক ডেফিসিয়েন্সি
পিসিওএস হলে প্রথম কাজ হচ্ছে ওজন কমানো নয়, বেলি ফ্যাট কমানো।
এখন যাদের পিসিওএস হচ্ছে, বেশিরভাগেরই ওজন স্বাভাবিকের কাছাকাছি বা সামান্য কিছুটা বেশি। ওজনের চেয়ে বড় সমস্যা, পেটে, বিশেষভাবে তলপেটে থাকা চর্বিগুলো।
এরপর সামগ্রিক ভাবে টোটাল হরমোনাল রিসেটের প্রয়োজন হয়। এতে কমপক্ষে ৩ মাস থেকে ২ বছর পর্যন্ত সময় লাগে।
পারফেক্ট লাইফস্টাইল ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে পিসিওএস থেকে উপরোক্ত সময়ের মধ্যে বের হয়ে আসা সম্ভব।
যদি পিসিওএস থেকে বের হতে চান, ২-৩ মাস পিরিয়ড অফ হলেই ভয় না পেয়ে ধৈর্য ধরে ওপরে যে ঝুকিপূর্ণ খাবারগুলোর কথা বলেছি সেগুলো বাদ দিন। রাত জাগা কমান। অতিরিক্ত স্ট্রেস থেকে বের হতে চেষ্টা করুন।
স্পেশালাইজড পরামর্শের জন্য এপয়েন্টমেন্ট নিতে পেইজ সবসময়েই উন্মুক্ত।
আমেরিকান জনগন প্রতিবছর চার বিলিয়ন ডলার পিসিওএসের চিকিৎসায় খরচ করে। কিন্তু পিসিওএস দিনকে দিন বাড়ছেই।
এর কারন, সমস্যাটা লাইফস্টাইলে।
আরেকটা কথা, মেয়েরা বিয়ের পরিকল্পনা করার পর থেকেই দ্রুত পিসিওএস চেক করিয়ে সে অনুযায়ী লাইফস্টাইল প্ল্যানে চলে যাবেন।
এটা করতে পারলে ইনফারটিলিটির ট্রিটমেন্টে খরচ করা লাখ লাখ টাকার অনেকাংশেই বেচে যাবে ইনশা আল্লাহ।