ডায়াবেটিস এর চিপেস্ট মিরাকেল নিয়ে জানুন
ঝামেলাটা শুরু হয় আসলে ডায়বেটিসের লক্ষন দেখা দেয়ার অনেক আগে থেকে। ৫-১৭ বছর আগে থেকে। অবাক করা হলেও এটাই সত্যি।
বাস্তবতা হচ্ছে, আমাদের শরীর সারাবছর খাওয়ার জন্য উপযোগী না। আমরা বছরে ২-৩ মাস প্রচুর খাওয়া, ৪-৬ মাস আধপেটা খাওয়া আর বাকি ৩-৬ মাস দিনে একবার কোনমতে খাওয়ার মত শরীরের উপযোগী।
আমাদের লিভার গরু-মোষ বা ভালুকের লিভারের মত বিশাল না, আমাদের শরীরে অনেক বেশি এডিপোসাইটও নাই।
এটা আমাদের প্রতি স্রষ্টার সুস্পষ্ট বার্তা, সারাবছর তিনবেলা খাওয়ার জন্য আমাদের তৈরি করা হয় নাই।
ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং টেকনিকটার মূল কথাই এটা।
এখন থেকে পঞ্চাশ বছর আগেও বাংলাদেশে চৈত্র-বৈশাখ এবং আশ্বিন-কার্তিক মাস ছিল অভাবের সময়। অধিকাংশ মানুষ এসময়টা দিনে দুবেলা খেতে পেত না।
তখন জমিতে ফসল হত না বিষয়টা তেমন না, সমস্যাটা ছিল ফসল সংরক্ষণ, মজুদকরন, বাজারজাতকরন, ও পরিবহনের।
আধুনিক যুগে এই প্রতিটা সমস্যা সমাধান হয়ে যাওয়াতে, এবং এখনকার প্রায় উপচেপড়া কৃষি উৎপাদনের যুগে আমাদের তাই না খেয়ে থাকার কোন সুযোগ হয় না। কিন্তু আমাদের শরীরের গঠন রয়ে গেছে সেই না খেয়ে থাকার মতই।
ফলে, আমরা শরীরে বাড়তি গ্লুকোজ জমাতে শুরু করি। সেই গ্লুকোজ ওভারলোড হয়ে শুরু হয় ফ্যাট জমা, এবং সেখান থেকে ধাপে ধাপে লিভার ও প্যানক্রিয়াসে ফ্যাট জমেই শুরু হয় ডায়বেটিস।
মূল প্রক্রিয়া দীর্ঘ ও জটিল, এখানে সাধারনের সুবিধার্থে সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করতে চেষ্টা করা হয়েছে।
ডায়বেটিস থেকে যদি নিরাপদ থাকতে চান, ফাস্টিং ও এক্সারসাইজ হল আপনার জন্য চিপেস্ট মিরাকল।