ডায়াবেটিস রোগী খাবে কী?
ভাই, আপনি যে বললেন সাদা আটার রুটি খাবেন না, তাহলে ডায়বেটিস রোগীরা আসলে খাবে কী?
আসলে, আল্লাহর দুনিয়াতে রিযিক আর রহমতের কোন সীমা পরিসীমা নেই। আমাদের শুধু জানতে হবে কি করলে কি হয়।
সাদা আটার রুটির দুটো ইজি অলটারনেটিভ আছে।
১) লাল আটার রুটি
২) যবের আটার রুটি
যবের আটার রুটি হচ্ছে ওয়ান অফ দ্যা বেস্ট ডায়বেটিক স্টেপল কার্বোহাইড্রেট। এর জিআই মাত্র ২৮, জ্বি, আপনি ঠিকই শুনেছেন, মাত্র ২৮!!
কিন্তু যবের রুটি খেয়ে হজম করতে পারবে এমন জোরদার হজম শক্তি অনেক ডায়বেটিক
প্যাশেন্টেরই থাকার কথা না, স্পেশালি যাদের দাত দুর্বল বা বয়স বেশি।
তাহলে অলটারনেটিভ কি?
সহজ, ব্রাউন রাইস।
মিলে ধান ভাঙ্গিয়ে চাল করতে শেষ যে দুটো স্টেপ সেগুলো বাদ দিলেই পেয়ে যাবেন ব্রাউন রাইস। ভাত বা রুটি যেটা খুশি করতে পারেন এটা দিয়ে।
আরেক চমৎকার ডায়বেটিক স্টেপল হল মিষ্টি আলু, সস্তা কিন্তু স্বাস্থ্যকর। তবে কিডনি রোগীদের মিষ্টি আলু কম খাওয়াই ভাল।
সর্বশেষ একটা কথা আবার বলি, ওটস যদি খেতে চান, ভুজুং ভাজুং ইন্সট্যান্ট ওটস না, রোল্ড ওটস খান। রোল্ড ওটসে খরচ হয় বটে, কিন্তু দারুন খাবার। ক্যালরি, কার্ব, সুগার সব একসাথে কাট ডাউন করা যায়।
যব দিয়ে যে শুধু রুটিই খাওয়া যায় তা কিন্তু না। ছাতু করে দুধ দিয়ে খাওয়া যায়, কলা-বাদাম দিয়ে খাওয়া যায় আর সবচেয়ে মজা করে খাওয়া যায় বুটের ডাল-ছোলার ডালের সাথে মিশিয়ে তাতে ডিম আর সালাদ যোগ করে বার্লি খিচুড়ি রান্না করে খেতে।
তাহলে সামারি কি দাড়ালো??
- সাদা আটা, সাদা চাল, আলু, ইন্সট্যান্ট ওটস এবং মুড়ি, এরা আউট।
- লাল আটা, বাদামী চাল, মিষ্টি আলু, রোলড ওটস এবং ছোলাবুট, এরা ইন।
তার মানে, খুজলে ঠিকই পাওয়া যায়, ঠিকভাবে খুজতে হয়।