ওভারিতে সিস্ট আছে কিনা কীভাবে বুঝবেন?
আপনার ওভারিতে সিস্ট আছে কি না, এটা বোঝার সবচেয়ে সহজ তিনটা উপায় এখানে আমি বলে দিচ্ছি।
ফলো করলে কাজে লাগবে ইনশা আল্লাহ।
১) খেয়াল করবেন, আপনার মাসিক কতদিন পরপর হচ্ছে। ২২ দিনের কম সময়ে বা ৩৫ দিনের বেশি সময় মাসিক হওয়া মানে সিস্ট থাকার সম্ভাবনা আছে। (1)
২) অনিয়ন্ত্রিত ওজন বৃদ্ধি এবং বিশেষভাবে তলপেটে, নিতম্বে ও পিঠে চর্বি জমা, রাতে ঘুম না হওয়া এবং ঘনঘন চিনি খেতে চাওয়া
৩) অনাকাঙ্ক্ষিত বিভিন্ন স্থানে পশম গজানো এবং মাথার চুল পড়ে যাওয়া। সেক্স ড্রাইভ খুব কমে যাওয়া বা খুব বেড়ে যাওয়া।
এই তিনটা সমস্যাকে বলা হয় পিসিওএসের ক্লাসিক ট্রায়াড। এগুলির সবকয়টা আছে মানে, পিসিওএস নিশ্চিত। যদি অন্তত দুটো থাকে, তাহলেও ধরে নেয়া যায় পিসিওএস আছে।
এখন পিসিওএস জিনিসটা কি??
পিসিওএস হল গর্ভাশয়ের ভেতরে থাকা ছোট দানা, যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তরল থেকে তৈরি হয় এবং মাঝে মাঝে সলিড বা সেমিসলিড হতে পারে যদি যথেষ্ট সময় পায়।
এই সিস্টগুলো আসলে প্রথম দিকে ফলিকল আকারে থাকে যা অনেকটা মানুষের ডিম্বানুর মত আচরন করে। এই ডিম্বানু নিজে প্রচুর এস্ট্রোজেন তৈরি করে। এই এস্ট্রোজেনের প্রভাবে পিসিওএসে আক্রান্ত নারী অনেকটা গর্ভবতী নারীদের মত মেজাজের ভারসাম্যহীনতায় ভোগেন। (2)
পিসিওএস অন্তত পাচ ধরনের হয় এবং এর সাথে জড়িত আছে প্রায় ১৭টা হরমোন। (3)
আমরা যখন পিসিওএসে আক্রান্ত রোগীদের সুস্থতার জন্য নিউট্রিশনাল ট্রিটমেন্ট দেই, তখন তাদেরকে ধাপে ধাপে ৬-১২ মাসে সুস্থতার দিকে নিয়ে আসতে চেষ্টা করি।
পিসিওএস রিভার্স করতে সাধারনত ৩-১০টা কনসাল্টেশন প্রয়োজন হয়।
সাধারনত, যার হরমোনাল ইমব্যালেন্স যত বেশি পুরানো, তা সারতে সময়ও লাগে তত বেশি।
কিন্তু এখন পর্যন্ত আমার কাছে যত পিসিওএস প্যাশেন্ট ফুল কোর্স কমপ্লিট করেছেন, তিনজন বাদে সবাই এখন সম্পুর্ন সুস্থ আলহামদুলিল্লাহ।