ডায়াবেটিস রোগীরা পরিমিত চিনি খেতে পারবে কি?
অনেকে নাকি এখনো ডায়বেটিক রোগীদের পরিমিত পরিমানে চিনি খেতে বলেন।
এই বখাট্য পরামর্শের জনক হচ্ছেন এককালের ডাকসাইটে আমেরিকান এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট ড. জে. ব্যান্টল। ১৯৮৩ সালে তিনি নিউ ইয়র্ক টাইমসে একবার লেখেন, ডায়বেটিক রোগীদের প্রতি পরামর্শ হচ্ছে, আপনারা চাইলে পরিমিত পরিমানে চিনি খেতে পারেন যদি আপনার পরিমিত পরিমানের চেয়ে বেশি ক্যালরি না খান।
আমেরিকান সরকারের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন দফত্র ১৯৮৬ সালে যে সুগার টাস্কফোর্স তৈরি করে তারা প্রায় ১ হাজারের বেশি গবেষনার রেফারেন্স দিয়ে বলে, সুগার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এমন কোন সুনিশ্চিত প্রমান পাওয়া যায় নি।
ফলে, ১৯৮৮ সালে এফডিএ সুগারকে জেনারালি রিকগনাইজড এজ সেইফ বলে স্বীকৃতি দেয়। পরের বছর, ন্যাশনাল একাডেমি অফ সায়েন্সের ‘ডায়েট এন্ড হেলথঃ ইমপ্লিকেশান্স ফর রিডিউসিং ক্রনিক ডিজিজ একই কথা বলে, সেখানে বলা হয়, দাতের ক্ষয় ছাড়া নাকি সুগার অন্য কোন ক্ষতি করে না।
এসব গবেষনার সুযোগ নিয়ে কোকাকোলা এশিয়াতে তাদের বাণিজ্য বিস্তার করে। তাদের সবচেয়ে বড় বাজার হয় চায়না, মধ্যপ্রাচ্য ও ভারত।
১৯৯০ সালে চীনের মাত্র ১% মানুষ ছিল ডায়বেটিক। ২০১৩ সালে এসে চীনের মোট প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার ১১.৬% ডায়বেটিকে পরিনত হয়, যা আমেরিকার চেয়েও বেশি।
বাস্তবে, সুগার কোন ডায়বেটিক প্যাশেন্টের জন্য পরিমিতভাবে খাওয়ার মত কিছু না। আপনি একজন রোগীকে পরিমিত পরিমান বিষ খাওয়ার কোন পরামর্শ দিতে পারেন না।
ডায়বেটিকদের ম্যানেজ করতে আমাদের যেতে হয় ডিসুগারাইজেশান প্রসেসে, যার মাধ্যমে আমরা ধীরে ধীরে তার শরীর থেকে বের করে আনি সমস্ত স্টোরেজ সুগার। এই অবস্থায়, তার শরীর স্বাভাবিকভাবে গ্লুকোজ গ্রহনের উপযোগী হতে শুরু করে।
ডায়বেটিস, হার্ট ডিজিজ, স্ট্রোক বা অস্টিওপোরোসিস, ফর এনি মেটাবলিক ডিজিজ প্যাশেন্ট, সুগারকে সবার আগে বিদায় জানাতে হবে।