ওজন কম, তা-ও ভুগছেন পিসিওসে?
ওজন কম, তবু পিসিওএস। কি করবেন তাহলে??
আসলে, এ ধরনের ঘটনা আমাদের চারপাশে খুব একটা আনকমন না। গ্লোবালিও পিসিওএস প্যাশেন্টদের ২০% স্বাভাবিক বা স্বাভাবিকের চেয়ে কম ওজনের হয়ে থাকেন।
এ ধরনের প্যাশেন্টদের পিসিওএস ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে দেখা যায়,
১) মাসল মাস এবং মাসল টোন স্বাভাবিকের চেয়ে কম থাকে
২) সুগার ক্রেইভিং এর লম্বা ইতিহাস থাকে
৩) চিকেন ফ্রাই/চিকেন নির্ভরতা, পাস্তা-পিৎজা নির্ভরতার ইতিহাস থাকে
৪) লম্বা সময় ধরে রাতে দেরি করে ঘুমানোর অভ্যাস থাকে
৫) প্রচন্ড মানসিক চাপে ভোগার (বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রেম-পারিবারিক সমস্যা-পড়াশোনা থেকে) ইতিহাস থাকে
আমরা দেখছি, ওজন স্বাভাবিক বা স্বাভাবিকের চেয়ে কম হবার পরেও পিসিওএসের ঘটনা ঘটছে।
ওপরের কারনগুলোর ফলে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের ঘটনা ঘটে, পাশাপাশি স্টেরয়েড হরমোন DHEA ও LH/FSH রেশিও স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যাওয়ার প্রবনতা লক্ষ্য করা যায়।
এধরনের প্যাশেন্টদের সাধারনত ব্লাড গ্লুকোজ স্বাভাবিক থাকে কিন্তু Homa-IR টেস্ট দিলে দেখা যায় সে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্ট হয়ে বসে আছে।
তাহলে, করনীয় কি??
১) রাত জাগা বন্ধ করা
২) টক্সিক যেকোন ধরনের রিলেশানশিপ থেকে বেরিয়ে আসা
৩) স্ন্যাকিং বন্ধ করা
৪) দক্ষ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্টের পরামর্শ অনুযায়ী ফাস্টিং শুরু করা
৫) বিশ্বস্ত এন্ডোক্রাইনোলজিস্টের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় মেডিসিনাল সাপোর্ট নেওয়া।
সঠিক প্রফেশনালের কাছে যাওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ, যারা আপনার প্রতি সহানুভুতিশীল এবং আপনাকে সহযোগিতা করতে চান। পিসিওএস একজন মেয়ের জীবনের একটা সংকটময় অধ্যায়। আপনাকে দেখামাত্র প্রেসক্রিপশনে মুখস্ত ম্যানেজমেন্ট দিয়ে দেবেন, এমন প্রফেশনালদের কাছে যাওয়ার চেয়ে আপনার জন্য ভাল হবে যারা আপনার সমস্যা বুঝতে চান, এবং তা সমাধানে আন্তরিক।