সিম্যাগ প্রটোকল সম্পর্কে জানুন!
সিম্যাগ প্রোটোকলের মাধ্যমে ন্যাচারাল ডেলিভারির উদ্যোগটা শুরু করি গত বছর জানুয়ারী মাসে। এই এক বছরে সফলভাবে প্রাকৃতিক উপায়েই ২২ জন সিম্যাগ শিশু দুনিয়াতে আসলো আলহামদুলিল্লাহ।
বিভিন্ন কারনেই ন্যাচারাল ডেলিভারি আজকাল রীতিমত দুর্লভ হয়ে গেছে। না আমরা শারীরিকভাবে তৈরি থাকি প্রেগন্যান্সির জন্য, আর না আমাদের লাইফস্টাইল সুস্থ গর্ভধারনের উপযোগী। পাশাপাশি বাংলাদেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা তো আছেই।
সিম্যাগ প্রোটোকলের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি শক্তিশালী রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা ও উন্নত মানসিক সক্ষমতার লক্ষনসম্পন্ন শিশুর জন্ম দিতে সহায়তা করে।
মাতৃত্বকালীন সময়ে গর্ভবতী মায়েরা মূলত ১২ টি নিউট্রিয়েন্টের অভাবে ভুগে থাকেন।
ইসেনশিয়াল এমাইনো এসিড লাইসিন ও লিউসিন, ট্রিপ্টোফ্যান, ভিটামিন সি, ডি, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফোলেট, জিংক, ভিটামিন বি-৬, বি-১২ ও ডিএইচএ।
আমাদের প্রোটোকলের উদ্দেশ্য থাকে এই সবকটি নিউট্রিয়েন্টের ঘাটতি পুরন করার মাধ্যমে মাকে ডেলিভারির জন্য সম্পুর্ন প্রস্তুত রাখা। পাশাপাশি শিশু যেন জন্মের আগে এই নিউট্রিয়েন্টগুলি ঠিক পরিমানে পায় তা নিশ্চিত করা।
সিম্যাগ প্রোটোকল শুরুর সঠিক সময় হচ্ছে প্রেগন্যান্সির ৮ সপ্তাহ। তবে বিয়ের পর থেকেই উরু, তলপেট ও নিতম্বের মাংসপেশী তৈরিতে যথেষ্ট শ্রম না দিলে তার খেসারত আপনাকেই দিতে হবে। মনে রাখবেন, প্রেগন্যান্সিতে অন্তত ৯-১০ কেজি ওয়েট স্বাভাবিকভাবেই গেইন করবেন আপনি, সেই ওয়েট বহন করার জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী কোর ও ব্যাক মাসলস, থাই ও গ্লুট মাসলস না থাকায় প্রেগন্যান্সির শেষ তিন মাসে অনেকেরই শুরু হয় ব্যাক পেইন, যা ক্ষেত্রবিশেষে সারাজীবন থেকে যায়।
সিম্যাগ প্রোটোকল অনুসরন করুন, পৃথিবীতে নিয়ে আসুন উচ্চ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন বুদ্ধিদীপ্ত শিশু।