পিসিওএস, ডায়াবেটিস এবং বন্ধ্যাত্ব নিয়ে জানুন
পিসিওএস এবং ডায়বেটিস দুটোই একে অন্যের সাথে সম্পর্কযুক্ত এবং এই দুইটা রোগই আবার বন্ধ্যাত্বের সাথে সম্পর্কিত।
কিভাবে?
দেখুন, পিসিওএসের প্রায় সাতটা টাইপ আছে।
এরমধ্যে একটা হচ্ছে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্ট পিসিওএস, এধরনের প্যাশেন্টদের দেখা যায় পিসিওএস হওয়ার আগে প্রায় দুই থেকে পাচ বছর সময় নিয়ে ধীরে ধীরে ৮-৩০ কেজি পর্যন্ত ওজন বাড়ে। ওজন বাড়ার এক পর্যায়ে পিরিয়ড অনিয়মিত হয় এবং শুরু হয় মুড সুইং, হতাশা, বিষন্নতা সহ বিভিন্ন মানসিক সমস্যা। ধীরে ধীরে ২৫-৩১ দিনের সাইকেল অনিয়মিত হতে হতে ৪৫-৬০ দিনে পৌছায় এবং একপর্যায়ে দেখা যায় পিল ছাড়া পিরিয়ড হচ্ছে না।
ব্লাড সুগার মাপলে দেখা যায় ব্লাড সুগার প্রিডায়বেটিক রেঞ্জে রয়েছে। ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স মাপলে দেখা যায় IR Index ২-৫ এর মধ্যে, অর্থাৎ যেকোন সময় এটা ডায়বেটিসে রুপ নিতে পারে।
ব্লাড সুগার বেড়ে যাওয়া ঠেকাতে ডাক্তাররা সাধারনত চিনি ও মিষ্টি জাতীয় খাবার, তৈলাক্ত খাবার খেতে নিষেধ করেন এবং কম খেতে বলেন।
কিন্তু রক্তে থাকা বাড়তি ইনসুলিন রোগীর ক্ষুধা ক্রমেই বাড়াতে থাকে এবং যত ইচ্ছাশক্তিই থাক ধীরে ধীরে দেখা যায় রোগীর জিহবার ওপর নিয়ন্ত্রন আরো খারাপ হচ্ছে।
ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্ট পিসিওএসের আরেকটা খারাপ দিক হল, এটা মেয়েদের সেক্সুয়াল ডিজায়ারকে ইমব্যালেন্সড করে দেয়।
কারোমধ্যে দেখা দেয় হাইপারসেক্সুয়াল ডিজর্ডার, ফলে সে যৌনতার প্রতি অতিরিক্ত আকর্ষণ বোধ করে এবং নিজেকে নিয়ন্ত্রনে ব্যর্থ হয়; আবার কারোমধ্যে দেখা দেয় যৌন অক্ষমতা।
এই সমস্যার শুধু শারীরিক না, মানসিক, সামাজিক ও পারিবারিক নানা ফলাফল আছে যা সামগ্রিকভাবে অনেকগুলো মানুষের জীবনেই প্রভাব ফেলে।
আপনার পিসিওএস যদি ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্ট হয় সেক্ষেত্রে আপনার করনীয় কী?
১) ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করবেন(পেইজের ভিডিও সেকশনে বা ইউটিউবে পাবেন)
২) চিনি ও মিষ্টি খাবার সম্পুর্ন এড়িয়ে চলবেন
৩) সাদা ভাত, আলু, গমের তৈরি খাবার বন্ধ রাখবেন
৪) রাত ১১টার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়বেন
৫) বি ভিটামিন, বিশেষভাবে থাইমিন, ফোলেট এবং ইনোসিটল সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করবেন।
৬) সন্তান নেবার অন্তত ৬ মাস আগে ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্টের সাথে কনসাল্ট করবেন
৭) নিয়মিত কার্ডিও+স্ট্রেন্থ ট্রেইনিং করবেন
৮) প্রয়োজনবোধে পিসিওএস রিভার্স করার জন্য প্রফেশনাল কন্সাল্টেশন নেবেন
৯) ক্যালসিয়াম ও আয়রন সাপ্লিমেন্ট এড়িয়ে চলবেন
১০) প্রয়োজন অনুযায়ী ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট নেবেন