ভিটামিন সি শিশুরা অন্যদের তুলনায় বেশি সক্রিয় কেন?
ভিটামিন সি শিশুরা অন্য শিশুদের চেয়ে দ্রুত প্রতিক্রিয়া দিতে ও মনের ভাব প্রকাশ করতে শেখে, অন্য শিশুদের চেয়ে বেশি সক্রিয় হয়, অযথা চিৎকার কম করে, এর কারনটা কি?
আসলে, এখানে দুটো ব্যাপার জড়িত।
এক নম্বর বিষয় হচ্ছে, নিউরোট্রান্সমিটার কোফ্যাক্টর হিসেবে ভিটামিন সি সমস্ত ফিল গুড হরমোন বা ভাল লাগার হরমোনের উৎপাদনকে সরাসরি প্রভাবিত করে। এজন্য ভিটামিন সি প্রোটোকলে জন্মানো শিশু সাধারনত বেশি হাসিখুশি থাকে, কারন তার ভালোলাগার হরমোনগুলো অন্যদের চেয়ে বেশি সক্রিয়। একারনে সে স্ট্রেসও কম অনুভব করে।
দ্বিতীয় বিষয় হচ্ছে, শিশুর ব্রেইনের নিউরন তৈরিতে উচ্চ ঘনত্বের ভিটামিন সি প্রয়োজন হয়। এই উচ্চ ঘনত্বের ভিটামিন সি যখন পর্যাপ্ত পরিমানে গর্ভাবস্থায় শিশুটি পায়, তখন তার নিউরনের পর্যাপ্ত বৃদ্ধি ঘটে।
মেক্সিকো ও ব্রাজিলে দেখা গেছে গর্ভাবস্থায় প্রায় ৪০% নারী ভিটামিন সি’র অভাবে ভোগেন।
গর্ভাবস্থায় ভিটামিন সি’র অভাব শিশুর মস্তিষ্কের স্মৃতিধারন ক্ষমতাকে দুর্বল করে দেয় এবং তার বুদ্ধিবৃত্তিক ও আবেগীয় অনুভুতিকে অসাড় করে দিতে থাকে।
এজন্য, ভিটামিন সি, বিশেষ করে সিম্যাগ প্রোটোকলকে আমি মনে করি গর্ভাবস্থায় মা ও শিশুদের জন্য অত্যন্ত জরুরী একটি ইন্টারভেনশন।
আরেকটা কথা, বাজারে লেবু-মাল্টার দাম বাড়িয়ে দিয়েন না ভাইয়েরা।শুধুমাত্র লেবু-মাল্টা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল না।
পেইজের আগের দিকের পোস্ট পড়লে বিষয়টা ক্লিয়ার হয়ে যাবে আশা করি।
বাংলাদেশের মানুষ কিছু একটা খেয়ে উপকৃত হবে জানলে নিজে নিজে ওস্তাদী করে বাজারে ঝাপিয়ে পড়ে এবং একটা পন্যের দাম বাড়িয়ে দিয়ে সংকট সৃষ্টি করে।
সিম্যাগ প্রোটোকল একটি ওয়েল ডিজাইন্ড নিউট্রিশনাল প্রোটোকল, ইনশা আল্লাহ এটা আমরা বাংলাদেশে সফলভাবে প্রয়োগ করে দেখিয়ে দেবো, নিউট্রিশনাল নলেজ দিয়েও বড় ধরনের পরিবর্তন আনা সম্ভব।
পৃথিবীতে শিশুদের আগমন হোক সুন্দর, শিশুদের জীবন হোক স্বাভাবিক।